নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ঈদের পর আমি গোপনে নামবো কুতুবপুরেও আসবো, হঠাৎ হঠাৎ আসবো আমি মানুষের ঘরে ঘরে যাবো। কুতুবপুরে কোনো সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না, পুলিশের প্রয়োজন নাই আমরাই যথেষ্ট আপনারা সবাই সন্ত্রাসীদের ও মাদক ব্যবসায়ীদের ওয়ার্নিং দিয়ে দেন। কারণ যখন ধরবো তখন কিন্তু কারো রেহাই নাই। পুলিশ একা এতোকিছু সামাল দিতে পারবে না আমরা সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, একটি ইউনিয়নের ইফতার মাহফিলে বিশাল মানুষের আয়োজন করা হয় অথচ ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা এনায়েতনগর ইনিয়নের একটি চিপায়। নারায়ণগঞ্জের একজন সাবেক এমপিকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, সেই মাহফিলে অঘটন ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের আহত আর নিহত করা হতো আর নাম দেয়া হতো শামীম ওসমান ও সরকারের উপর। দেলপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক ইফতার মাহফিলে এই কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর আয়োজনে কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম ওসমান বলেন, এরআগেও ওই সাবেক সংসদ সদস্য এই কাজ করেছেন। বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে একজন টোকাই দিয়ে হত্যার চেষ্টা করিয়েছেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ আর তদন্তে সেই সাবেক সংসদ সদস্যের পুত্রসহ ৭ জনের নাম উঠে এসেছে। সেদিন যদি মামুন মাহমুদ মারা যেতেন, তাহলেও আমার নাম দেয়া হতো এবং আমাকে দোষী বানানো হতো।
শামীম ওসমান বলেন, আমাদের একটা, দুইটা কিংবা তিনটা না। আমাদের ১৭ জন মানুষকে এই এমপির হাতে মারা হয়েছে। শুধু আমাদেরই না, বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই সাব্বির আলমকেও তিনি মারিয়েছেন। আমি সেই নেতাকে বলবো, এগুলো রাজনীতি না।
জাকির খান গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, জাকিরকে আমি খুব ছোট থেকে চিনি, ভদ্র একটি ছেলে ছিল। সেই জাকিরকে দিয়ে নানা অপকর্ম করিয়েছেন তিনি। বিএনপির আমল থেকেই জাকির খান পলাতক ছিল, বিভিন্ন প্রলোভনে কিছু দিন আগে ঢাকায় আনা হয়। এরপর জাকির খানের কিছু লোককে উস্কে দিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশের উপর হামলা করানো হয়। একজন ছেলে সেই সংঘর্ষে মারা যায়। এই ঘটনায় নিজেদের বাঁচাতে আবার তারাই প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে জাকির খানকে গ্রেফতার করায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।